শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
English
ব্রেকিং নিউজ
ত্রিশালে ১৭৩ একর জায়গায় নির্মিত হবে সেনাপ্রধানের স্বপ্নের অলিম্পিক কমপ্লেক্স আরএমপির মতিহারে মাদকের স্বর্গরাজ্য এক ‘হোয়াইট কালার’ গডফাদার এখনও অধরা পলাশবাড়ী‌র মহদীপুর ইউ‌পিতে স্ব-পদে ফিরে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত রাহিদুল ইসলাম বাবু’ পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ে নদী দখল করে স্থাপনা ! রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পক্তি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালায় বক্তব্যে বলেন — শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস হারানো বিজ্ঞপ্তি শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ‘র মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর শোক প্রকাশ। 

দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস

Muktokathan news
  • Update Time : শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯ Time View

অফিস ডেস্ক —
দফ (Daf) বা দাফ একটি প্রাচীন তালবাদ্য যন্ত্র, যার ইতিহাস বহু শতাব্দী পেছনের কথা। এটি মূলত: একটি এক-মুখো ফ্রেম ড্রাম, সাধারণত কাঠ, ধাতু বা প্লাষ্টিকের গোলাকার ফ্রেমে একটি চামড়ার বা সিন্থেটিক চামড়ার ত্বক টানানো থাকে।

চলুন দফের আবিষ্কার ও প্রচলনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই:

আদিম উৎস:
দফের উৎস ধরা হয় প্রাচীন পারস্য বা ইরান অঞ্চলে। প্রায় ৬ষ্ঠ শতাব্দী খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।এটি তখন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ করে সুফি সাধকরা ধ্যান ও জিকিরের সময় দফ ব্যবহার করতেন।

প্রসার ও প্রচার মধ্যপ্রাচ্যে :

পারস্য থেকে এটি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।বিশেষ করে আরব, তুর্কি, ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতিতে দফকে “হালাল” বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হতো।কারণ এটি গানের চেয়ে জিকিরে বেশি ব্যবহৃত হতো।

ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন:
দফ ভারতীয় উপমহাদেশে আসে মূলত: সুফি সাধকদের মাধ্যমে।মাজার, ওরস, কাওয়ালি, লোকগান ও বাউল সংগীতে দফ বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।বাংলা লোকসংগীতে বিশেষ করে বাউল, মারফতি, মুর্শিদি গানে দফ একটি অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্র।

দফের প্রচলন ও ব্যবহার:

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকসংগীত:
গ্রামীণ মেলা, বাউল উৎসব এবং পীর-মাজারেও দফের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয়।বিভিন্ন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গানে দফ ব্যবহৃত হয় সঙ্গীতের স্পন্দন ও তাল সৃষ্টি করতে।

সুফি ও ধ্যানসংগীতে:
দফ শুধুই বাদ্যযন্ত্র নয়; অনেকের কাছে এটি আত্মার অনুরণন, ভক্তির ছন্দ এবং জাগরণের মাধ্যম বলেও জানা গেছে।

আধুনিক সংস্করণ ও থেরাপিতে প্রয়োগ:
এখন অনেক দফে ঝিনঝিন বা ঘণ্টাধ্বনির মতো রিং লাগানো থাকে।বর্তমানে দফকে মিউজিক থেরাপিতেও ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ধ্বনি হৃদয় ও মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে।

উপসংহার:
দফ একটি প্রাচীন কিন্তু জীবন্ত বাদ্যযন্ত্র যা যুগে যুগে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নতুনভাবে ও নতুনসাজে প্রকাশ হয়ে আসছে। আজও এটি শুধু লোকসংগীতে নয়, ধ্যান, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব পাচ্ছে।

মো: শোয়েব হোসেন (লেখক)
শিক্ষক,শিল্পী, গবেষক,
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।

Author

Please Share This News in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Muktakathan Kalyan Foundation ©
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102