সারাদেশ

নোয়াখালীতে প্রবাসী পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৩ মে ২০২৫ , ১০:২৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

গিয়াস উদ্দিন রনি,  বিশেষ প্রতিনিধি ( নোয়াখালী) : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর এক প্রবাসী পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শাহ আলম বলেন, উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের ভূমিদস্যু মামলাবাজ, সন্ত্রাসী ও জবর দখলকারী মাহবুবুর রশীদ রাজু,মাহবুবুল আলম দুলাল,জামসেদ, মাহবুবুর রশীদ রাজুর স্ত্রী রেহানা পারভীন, গৃহপরিচারিকা রহিমা বেগম ও মমতাজ গংদের অত্যাচার,নির্যাতন হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে। বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় আমার পুরো পরিবার দিশেহারা। আমরা তিন ভাই, এক ভাই আমেরিকাতে থাকে। অপর দুই ভাই দীর্ঘ ২০ বছর যাবত চট্রগ্রামে বসবাস করি। ধন্যপুর গ্রামে আমাদের পৈত্রিক ৪০১ শতাংশ জমি রয়েছে।  ওই সম্পত্তির  ফল ফলাদি ও পুকুরের মাছ আমাদের অনুপস্থিতিতে জোরপূর্বক ভোগ করত মাহবুবুর রশীদ গং।  ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে আমি বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করি। আমরা বাড়িতে বসবাস করার কারণে মাহুবুর রশীদ গং অসন্তষ্ট হয়ে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, আমরা বাড়িতে থাকার কারণে তারা আমাদের সম্পত্তি থেকে সুবিধা না নিতে পেরে আমাদের ভিটে বাড়ি ছাড়া করার জন্য বিভিন্ন চক্রান্ত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাহবুবুর রশীদ গং আমার ওপর ও আমার স্ত্রীর ওপর একাধিকবার আক্রমণ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করলে সোনাইমুড়ী থানায় জিডি করি। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।  ১৭ ডিসমিল জমি দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। জমি দখলের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সন্ত্রাসী নিয়ে ঘরে আমাদের জিম্মি করে হাওলাতি টাকাকে পাওনা টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার জের ধরে আমার কাছে জমি ক্রয় করার  জন্য টাকা প্রদান করেছে বলে দাবি করে সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তারা সঙ্গবদ্ধভাবে প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার মর্মে একটি লিখিত রায় আদায় করে আমাকে পুনরায় হুমকি দেওয়া শুরু করে। এরপর আমাকে হেনস্তার জন্য তিনটি মামলায় জড়ানো হয়।

জানতে চাইলে মাহবুবুর রশীদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, শাহ আলমের সাথে এখন আমার কোন বিরোধ নেই। আমি তার বিরুদ্ধে কোন মামলা করিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছে। তবে কোন পক্ষই পুলিশের কথা শুনেনা।

বার্তা প্রেরক
গিয়াস রনি
মু.০১৬৭৬-৬৯৮৬২৬, নোয়াখালী।

Author

আরও খবর

Sponsered content