নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহীঃ রাজশাহীতে এক পরিবারের জমি জবর দখল করে রেখেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। জমি দখলমুক্ত করতে গেলে দেয়া হয় বেদম মার। সেই মারধোরে বাদ পড়েনি পরিবারের নারীরাও। এরপর গ্রাম্য শালিসে ঐ সন্ত্রাসীরা জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারলে জমি দখলমুক্ত করতে বলেন গ্রাম্য মাতবররা। শেষে ভূক্তভোগী পরিবারকে আরও নাজেহাল করতে পতিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে করা মামলার শেষের দিকে ১৭০ নম্বর আসামী করা হয় ঐ পরিবারের জালাল উদ্দীন’কে (৪৫)।
সোমবার (১২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এমনই অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগী জালাল উদ্দীনের স্ত্রী আসমা খাতুন বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের নিজ এলাকার নুরুল ইসলাম, হানিফ, বাদল, রুহুল গং দের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। তারা আমাদের জমিজমা জবর দখল করে রেখেছিল। জবর দখল ছুটাতে গেলে গত বছর নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ তারা আমার স্বামী জালাল উদ্দীন, দেবর জাহাঙ্গীর, চাচাশ্বশুর মকসেদ সহ পরিবারের অন্যদের সাথে আমাকে ও বাড়ীর মহিলাদেরও বেদম মারধোর করে।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের মেরে ফেলা, কিন্তু এলাকা বাসীর সহযোগিতায় সবাই গুরুতর আহত হলেও আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। এরপর চিকিৎসারত অবস্থায় আমরা চন্দ্রিমা থানায় অভিযোগ দিলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় গত বছর ১৪ নভেম্বর আসামীদের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে স্থানীয় গণ্যমান্যরা গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করলে তারা তাদের পক্ষে জমিজমার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে কিছুতেই কিছু না করতে পেরে তারা আমার স্বামীর নামে পতিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সালে বিস্ফোরক মামলায় শেষের দিকে ১৭০ নম্বরে সংযুক্ত করে আমাদেরকে বিপদে ফেলে। যদিও আমার স্বামী জালাল উদ্দিন কোনদিন কোন দলের সাথে সংযুক্ত ছিল না৷ সে একজন সাধারণ চালকল শ্রমিক। এরকম বিপদের মুখে আমরা সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের এ দূরাবস্থার প্রতিকার ও বিচার দাবি করছি।