শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
English
ব্রেকিং নিউজ
রোজা হল ধনী গরিবের পার্থক্য নির্ণয়ের মাপকাঠি বন্ধুত্বের আলোয় ইফতারের মিলনমেলা, পাঁচ বছর পর একসঙ্গে দ্বিতীয় বারের মত কর্ণফুলী টানেল টোল ডিপার্টমেন্ট কতৃক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে শিবিরের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইফতার”হুইল” চেয়ার” ও আর্থিক সহায়তা প্রদান পঞ্চগড় শিশু কন্যা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পেলাইদ উত্তরপাড়া আকন্দবাড়ী জামে মসজিদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল।  এবার শাহজাদপুরে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ করলো মামাতো ভাই, মুমূর্ষু অবস্থায় হাঁসপাতালে ভর্তি বাগেরহাট সদরের সিএন্ডবি বাজারে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন ময়মনসিংহের গৌরীপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ অভিযানে ৮ কেজি গাঁজা সহ নারী আটক

সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সভাপতির পদ নিয়ে বিভ্রান্তির জবাবে সংবাদ সম্মেলন

Muktakathan News
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৫৪ Time View

প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সিটি কলেজে সভাপতি পদে আসীন হওয়া নিয়ে সমালোচনার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন। সংবাদ সম্মেলনের পর বিকালে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের গভর্নিং কমিটি বাতিল করে অধ্যক্ষ বরাবর নতুন চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কমিটি বাতিলের পূর্বে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ২০২৪ ইং দুপুরে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সম্মেলন কক্ষে সভাপতি কবির হোসেন মিলন সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। গত ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুর্নীতির আখড়া সাতক্ষীরা সিটি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের মনোনীত প্রতিনিধি আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির সাবেক পিএ মকসুমুল হাকিম কলেজটির এডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই পুনরায় তাকে সভাপতি করার জন্য দুর্নীতিবাজদের একটি চক্র প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের নবনিযুক্ত সভাপতি কবির হোসেন মিলন বলেন, ২০০৮ ইং সালে তার পিতা এই কলেজে অফিস সহকারী পদে চাকুরিরত অবস্থায় মারা যান। এরপর সেই একই স্থানে মাস্টাররোলে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়। আমি গত ২০২১ ইং সালে সদরের আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

কবির হোসেন মিলন অভিযোগ করে বলেন, একটি পত্রিকায় রিপোর্ট করেছে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকা অবস্থায় কলেজটির সভাপতি হয়েছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি চাকরি করি মাষ্টাররোলে। তারপরই গত ৯ জানুয়ারি লিখিতভাবে কলেজটির অধ্যক্ষের কাছে অফিস সহকারী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং বর্তমান অধ্যক্ষ ড. শিহাব উদ্দীন সেটি গ্রহণও করেছেন। এসবের স্বপক্ষে কাগজপত্র উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখান। দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তোলা আইনগতভাবে সিদ্ধান্ত হলেও পত্রিকাটি তা না জেনে ভুলভাল রিপোর্ট তৈরী করে। প্রমানস্বরুপ এর স্বপক্ষেও বেতন বইয়ের রশিদ দেখিয়ে তিনি বলেন, আমি গত ২০২১ ইং সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে আর কোন বেতন তুলিনি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তিনি বকেয়া টাকা উত্তোলন করি। সেই টাকা ও আমি ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে পাওয়া সম্মানীও ইউনিয়ন পরিষদের একাউন্টে জমা দেই। সেই টাকা দিয়ে ইউনিয়নের দুঃস্থও অসহায় মানুষদের সাহায্য করি।

তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমি সভাপতি মনোনীত হওয়ায় দুর্নীতিবাজ চক্রটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে স্থানীয় দৈনিক পত্রদূতে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের দুর্নীতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সভাপতি হওয়ার পর মাত্র তিন বছরে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে প্রায় ৫ কোটি টাকা লোপাট হয়। এব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন চার বছর ধামাচাপা পড়ে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও উপেক্ষিত রয়েছে বছরের পর বছর। আমি সবকিছুকে উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা সিটি কলেজকে একটি আধুনিক ও মডেল কলেজ হিসাবে রুপান্তরীত করতে চাই। সে জন্য সকলের সহযোগিতার আহবান জানান ।

উল্লেখ্য, সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং তার সাবেক পিএ মকসুমুল হাকিম গত ২০১৪ ইং সাল থেকে পর্যায়েক্রমে কলেজটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেক্ষেত্রে মাত্র ৩ বছরের নীরিক্ষা প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যায়। নানা কারণে আলোচিত ছিল ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা সিটি কলেজ। কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় নতুন সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলনের নানা আব্দুল আজিজ সরদারের ১৬ কাঠা জমিসহ তার স্বজনরাই সমুদয় জমি প্রদান করেন।চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলনের বাবা কাশেমপুর প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম সরদার স্কুলের চাকরি ছেড়ে নবপ্রতিষ্ঠিত কলেজটির অফিস সহকারীর চাকরি নেন।

২০০৮ ইং সালে চাকরিরত অবস্থায় তিনি মারা গেলে তার ছেলে সমাজ বিজ্ঞানে এমএ পাশ কবির হোসেন মিলনকে মাষ্টাররোলে কলেজের অফিস সহকারীর চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৮ ইং সালে উক্ত পদে কবির হোসেন মিলনের এমপিভুক্তির সুযোগ হয়। কিন্তু সে সময় কলেজের সভাপতি সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও অধ্যক্ষ আবু সাইদ তার পরিবর্তে জনৈক হারুণ অর রশিদকে অফিস সহকারী পদে এমপিওভুক্ত করান। অভিযোগ আছে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে কবির হোসেন মিলনের পদটি মো.হারুণ অর রশিদের নিকট বেঁচে দেওয়া হয়। এনিয়ে দীর্ঘ দিন আদালতে মামলা ছিল।

এদিকে কলেজের এমপিও থেকে বঞ্চিত হয়ে ২০২১ ইং সালের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কবির হোসেন মিলন আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি বিএনপি জামায়াত ও আওয়ামী লীগের নেতাদের পরাজিত করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।কলেজ কর্তপক্ষ ঐ মাস থেকেই তার মাষ্টাররোলের চাকুরীর বেতনও বন্ধ করে দেন।সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে তিনি কলেজের মাষ্টাররোলের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।

উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সিটি কলেজে সভাপতির পদ নিয়ে কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হয়।এরই জের ধরে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন নতুন সভাপতি কবির হোসেন মিলন। এসময় সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Author

Please Share This News in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Muktakathan Kalyan Foundation ©
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102