হাসান মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টার : সাভারের নামা বাজার এলাকায় মডেল থানা থেকে মাত্র এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে রিকশা, ভ্যান, কভারভ্যান ও মালবাহী যানবাহনের কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অথচ এসব কর্মকাণ্ডের কোনো নজরদারি নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট চক্র প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে এলাকায় অবস্থান নেয় এবং বিভিন্ন যানবাহন থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে। এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ৩০ টাকার স্থলে ২০ টাকা নেওয়ায় তাকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং জিজ্ঞাসা করা হয় তার পরিচিত কেউ সাভারে আছে কি না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক সাধারণভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে তার প্রতিও মারমুখী আচরণ করা হয়। এমনকি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করারও হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, “এই চাঁদাবাজির ঘটনা সবসময় হয় না, দুপুরের পর কিছু লোক আসে এবং এসব কাজ করে। আমরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।”
সংযুক্ত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চাঁদা আদায়ের একটি রশিদ ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে “সাভার পৌরসভা টোল আদায়ের রশিদ” লেখা রয়েছে। রশিদে ইজারাদারের নামও উল্লেখ আছে: ইজারাদার: মোঃ আব্দাস উদ্দিন
তবে বাস্তবে যেসব ব্যক্তি চাঁদা আদায়ে জড়িত, তাদের নাম বা পরিচয় এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন ও সাভার মডেল থানা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন থেকেই যায়— থানা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বে এমন অপকর্ম কীভাবে দিনের পর দিন চলতে পারে?
(এই প্রতিবেদনে চাঁদাবাজদের নাম ও পরিচয় জানা না যাওয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি।)